চুল যদি ঘন ও নরম হয় তবে আপনার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে পারে কয়েক গুণ। বর্তমানে চুল নিয়ে নানা সমস্যায় ভোগে বেশিরভাগ মানুষ। চুল পড়ে যাওয়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়া, চুল রুক্ষ ও মলিন হয়ে যাওয়া এখন খুবই পরিচিত সমস্যা। চুল ঘন করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হলো ঘরোয়া উপায়। চুলের কিছু যত্ন দ্রুত চুলকে ঘন করে তুলবে, চলুন জেনে নিই চুল ঘন করার উপায়।
পাতলা চুল ঘন ও যত্ন সেরা ৫টি উপায়
চলুন এবার জেনে নিই চুলের যত্নে কোন তেল ব্যবহার করবেন?
নিয়ম করে তেল দিলে ভাল থাকবে আপনার চুল এই কথাটি কিন্তু সবারই জানা। তবে চুলের সঠিক যত্নে আদতে সপ্তাহে কতবার দিতে হয় তেল? আর চুলের ধরন বুঝে কিভাবে কোন তেল টাই বা করবেন ব্যবহার? চলুন এবার সেটি আপনাদেরকে জানিয়ে দিই।
যাদের তৈলা ত্বক তাদের চেয়ে শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের চুল তুলনামূলক চিকন হয়ে থাকে। চুল যেমনই হোক সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন বার চুলে তেল লাগাতে হবে। তা না হলে খুশকি বেড়ে যাবে, চুল পড়ে যাবে,ও চুল রুক্ষ হয়ে যাবে। এছাড়াও শ্যাম্পু করার আগে চুলে তেল লাগালে ভালো ফল পাবেন, কারণ তখন মাথার ত্বকের ভিতর থেকে ময়লা উঠে আসে।
চুলে তেল দিয়ে হালকা হাতে একটু মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আচড়ালেও হবে লাভবান। তেল লাগানোর পর চাইলে মোটা তোয়ালে গরম পানিতে চিবিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখতে পারেন কিছুক্ষণ। এতে চুলের ভীষণ উপকার। এতে করে ভিতরের ময়লা বেরিয়ে আসবে এবং তেলের পুষ্টিগণ ভিতরে যেতে পারবে।
চুলে খুশকি বেড়ে গেলে তেলের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে লাগাতে পারেন, আর চুল পড়া কমাতে তেলের সঙ্গে আমলকির রস ও মিশাতে পারেন। এগুলো করার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এবার চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক চুল পড়া বন্ধ করবেন কিভাবে?
এমনিতেই চুলপড়া সমস্যায় ভুগে থাকি আমরা অনেকেই। আর তার ওপর এখন তো প্রচন্ড গরম। ঘেমে চুলের গোড়া নরম হয়ে আরো বেশি ঝরছে মাথার চুল। কি উপায় তবে? চলুন তাহলে জানাই এমন কয়েকটি উপায়। যে উপায় গুলি অবলম্বন করলে রোধ করতে পারবেন গরমের কারণে চুল ঝরে পড়ার মতো সমস্যা।
প্রচন্ড গরম ধুলোবালি দূষণ শারীরিক সমস্যা এসব নানা কারণে রোজি ঝরছে চুল। আর এই চুল পড়া কমাতে ও চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে প্রাকৃতিক কিছু উপায় কাজ করবে ওষুধের মতো।
মাথার স্ক্যাল্পে নিয়মিত মাসাজ করুন:
মাথার স্ক্যাল্পে নিয়মিত মাসিক হলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং মাথার ত্বক সুস্থ থাকে। নিয়মিত মাসাজ করলে চুল পড়া ও কমে। সাথে মিলবে মানসিক প্রশান্তি ও
নারিকেল তেল ব্যবহার করুন:
নারকেল তেল মাথার ত্বকের মাইক্রোবায়োটা উন্নতি করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে, তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন নারকেল তেল দিয়ে মাসাজ করে কয়েক ঘন্টা অথবা সারারাত রেখে, পরদিন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল ভাঙ্গা বা পড়া রোধ করবে এবং নতুন চুল ও গজাতে সাহায্য করবে।
আমলকি ব্যবহার করুন:
আমলকি মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ফ্যাটি আসিড এবং ভিটামিন সি থাকায়। এটি চুল পাকা রোধ করতে ও চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে। আমলকি চুলের মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সে ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ টেবিল-চামচ আমলকীর গুঁড়া অথবা রস। ও ২ টেবিল চামচ পানি বা তেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ঘষে ঘষে লাগান। ৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে একদিন লাগালে চুল ঝরা কমে যাবে।
ডিম এর ব্যবহার:
ডিম চুলের জন্য অনেক ভালো কাজ করে, এতে ৭০% ক্যারোটিন থাকায় , এটি চুলের শুষ্কভাব ও আগা ফাটা রোধ করে। পাশাপাশি চুলকে মজবুত ও ঝরঝরে করতে সাহায্য করে। আপনি জানলে অবাক হবেন টক দই কাজ করে চুলের কন্ডিশনার হিসেবে। এ ক্ষেত্রে দুটি ডিম ও ২ চা চামচ টক দই চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, এটি রক্ত সঞ্চালন ও চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
পাতলা চুল যত্ন নেওয়ার সেরা ৫টি উপায়
১. তেল এবং শ্রীরামের ব্যবহার:
চুলে তেল ব্যবহার না করা আপনার চুল নষ্ট হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। চুল সুন্দর রাখতে চাইলে তেলের বিকল্প নেই। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে চুলে তেল ও সিরাম ব্যবহার করবেন। গোসলের আগে বা পরে চুলে শ্রীরাম ব্যবহার করুন।
২.চুল পরিষ্কার রাখুন:
গরমের সময় ঘামের কারণে চুলের গোড়ায় সহজেই ময়লা জমে যায়। যে কারণে নিয়মিত চুল পরিষ্কার করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এর বেশি ব্যবহার করলে চুলের স্বাভাবিক তৈলাক্ততা নষ্ট হতে পারে।
৩. কন্ডিশনার ব্যবহার:
অনেকেই আছেন যারা চুলে শুধু শ্যাম্পু ব্যবহার করেন, কিন্তু কন্ডিশনার ব্যবহার এড়িয়ে যান। এটি মোটেও ঠিক অভ্যাস নয়। চুল ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। শ্যাম্পু করা শেষ হলে চুল ধুয়ে নিন, এরপর সামান্য কন্ডিশনার নিয়ে চুলে মাখুন। কন্ডিশনার লাগানোর পর কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে নিতে হবে।
৪. আলতো হাতে চুল আঁচড়ান:
গোসলের পর বের হয়েই অনেকে ভেজা চুল আচঁড়ানো শুরু করেন এটি করা যাবেনা। চুল কিছুটা শুকানোর সময় দিন, এরপর আলতো হাতে চুল আঁচড়ে নিন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে, এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল পড়ার ভয় থাকবে না।
৫. নিয়মিত ট্রিম করুন:
চুল ঘন ও সুন্দর রাখতে চাইলে চুল নিয়মিত ট্রিম করতে হবে। কারণ চুলের আগা ফেটে যাওয়া খুব সাধারন সমস্যা, নিয়মিত ট্রিম করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফলে চুল হয় মজবুত ও সুন্দর। এক থেকে দুই মাস পরপর একবার করে চুল ট্রিম করে নেবেন। এই সব নিয়ম মেনে চললে সহজেই পেয়ে যাবেন ঘন চুল।
পাতলা চুল ঘন ও যত্ন নেওয়ার উপায়
সর্বশেষ কথা:-
প্রিয় বন্ধুরা আমি চেষ্টা করেছি এই একই পোষ্টের মাধ্যমে চুলের যত্ন নেওয়া এবং চুল ঘন করার উপায় গুলো সম্পর্কে আপনাদের জানানোর। আশা করছি আজকের এই টিপস গুলো ফলো করলে আপনি আপনার চুলের যত্ন সঠিক উপায় নিতে পারবেন। সেই সাথে রোধ করতে পারবেন চুল পড়া। আজকের পোস্টটি কেমন লাগলো সেটি জানিয়ে দিন কমেন্ট সেকশনে। আর আপনি যদি এমন ই আনকমন এবং ইন্টারেস্টিং পোস্ট করতে পছন্দ করেন তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।