Uncategorized

মাত্র ৭ দিনে! মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

যুগে যুগে মানুষ নিজের সৌন্দর্য নিয়ে ভেবে আসছে, নিজেকে যাতে অন্যের কাছে আরও একটু বেশী আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, সে জন্য চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না কোন সৌন্দর্য পিপাসা পুরুষ বা মহিলারা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা ব্যস্ত জীবনে সব সময় নিজের যত্ন ঠিকমতো নেওয়া খুবই মুশকিল। তাছাড়া দিনদিন পরিবেশ ও দূষণ যুক্ত হয়ে পড়ছে, এতে করে নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখা আসলেই ভীষণ কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। অথচ নিজেকে সবসময় সুন্দর ও আকর্ষণীয় রাখাটা যেন জীবনেরই একটা অংশ আধুনিক যুগে এ কথার সত্যতা অনিশিকার্য। নারী বা পুরুষ একটি সুন্দর মুখের কদর কিন্তু সর্বত্রই আর তাই নিজেকে সুন্দর দেখতে কেইবা না চায়। 

১০০% কার্যকর জাদুকরি উপায় সমূহ মাত্র ৭ দিনে! মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়

সেই আদি যুগ থেকেই গায়ের রং নিয়ে মানুষের নানান চিন্তা ভাবনা, অনেকেরই কাম্য একটি ফর্সা সুন্দর ত্বকের। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে, শারীরিক অসুস্থতা, দীর্ঘসময়ের রান্নাঘরে কাজ করা, ইত্যাদি নানান কারণে ত্বক হারিয়ে ফেলে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা, হয়ে যায় কালচে ও বিবর্ণ। রঙ ফর্সাকারী ক্রিমের কদর তাই কমে না কখনোই, কিন্তু আসলে সত্যিই কি এসব মেখে গায়ের রঙ ফর্সা হয়? মুখের রঙ হয়তো একটুখানি উজ্জ্বল হয় কিন্তু পুরো শরীরের ত্বক সেটা কিন্তু আসলেই হয়ে ওঠে না। তাই আজকের এই পোস্টটিতে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব, কিভাবে খুব সহজে অল্প কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে আমরা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারি। আশা করি আমার আজকের এই পোস্টটি আপনাকে একটু হলেও কাজে দিবে।

১। দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার:

রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার কিন্তু বেশ পুরনো, বলা যায় যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। আর তাই প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা-চামচ কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন। এভাবে পান করতে না পারলে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ মেশানো দুধ পান করলে আপনার রং হয়ে উঠবে উজ্জ্বল এবং ফর্সা।

দুধে কাঁচা হলুদ বাটা না মিশিয়ে করতে পারেন আরেকটি কাজ। দেড় ইঞ্চি সাইজের এক টুকরো হলুদ নিন তারপর টুকরো করে কেটে এক গ্লাস দুধে দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। দুধ গাড় হলুদ রং ধারণ করলে তারপর পান করুন। এভাবে প্রতিদিন একবার করে পান করতে থাকুন, দেখবেন খুব সহজেই ভেতর থেকে আপনার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২। টমেটো এর ব্যবহার:

টমেটোতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় লাইকোপেন নামক একটি উপাদান, যা সব ধরনের ত্বকের দাগ মিলিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মৃত কোষ দের সরিয়ে দেয়‌। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা হয়ে উঠতে একটু ও সময় লাগে না। ১-২টা টমেটো ব্লেন্ডারে ফেলে তার সঙ্গে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে।

এই মিশ্রণটি ভালো করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভাল করে মুখটা ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবেই কয়েকদিন করতে পারলে রেজাল্টটা আপনিই দেখতে পারবেন।

৩। অ্যালোভেরার ব্যবহার:

অল্প করে অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তাতে কিছু পরিমাণ বাদামের গুঁড়ো মিশিয়ে, একটা মিশ্রন বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই মিশ্রণটি ভালো করে মুখে লাগিয়ে কম করে ১৫ থেকে ৩০ মিনিটে রেখে তারপর মুখটা ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেল ত্বককে ফর্সা করার পাশাপাশি নানা রকম স্কিন ডিজিজ এর প্রকোপ কমাতে ও বেশ সাহায্য করে থাকে। অন্যদিকে বাদাম গুঁড়ো মুখে জমে থাকা ময়লা এবং ব্ল্যাকহেডস দূর করতে দারুণ কাজে আসে।

৪। লেবুর রস ও চিনির ব্যবহার:

একটি লেবু থেকে রস সংগ্রহ করে তাতে এক চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি ততক্ষণ পর্যন্ত মুখে ঘষতে থাকুন, যতক্ষণ না চিনি টা আপনার ত্বকের সঙ্গে একেবারে মিশে যায়। যখন দেখবেন এমনটা হচ্ছে তখন মুখটা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন। ফর্সা ত্বক পেতে এই ঘরোয়া পদ্ধতি টি দারুণ কাজে আসে।

৫। মধু ও দইয়ের ব্যবহার:

পরিমাণমতো দইয়ে অল্প করে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই পেস্টটা কম করেও ১৫ মিনিট মুখে মাসাজ করুন। সময় হয়ে গেলে মুখটা ধুয়ে নিন। মধু ত্বকের ভেতর থেকে সুন্দর করে তোলে এবং লেবুর রস এবং দই  এর মিশ্রণে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বককে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করতে পারলে আপনার উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে খুব সহজেই।

 

সর্বশেষ কথা:-

আশা করছি আপনি আজকের এই পোস্টটি পড়ে খুব সহজে বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতেও নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়। বা ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করেও কিভাবে নিজের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়। আপনি যদি এই টিপসগুলো বা এই ফর্মুলা গুলো এপ্লাই করতে শুরু করেন তাহলে, কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ত্বক দেখে আপনি নিজেই চমকে যাবেন। তাই আপনি যদি ত্বকের ব্যাপারে সিরিয়াস হন তাহলে অবশ্যই এই ফর্মুলা গুলো ব্যবহার করতে শুরু করুন। কেমন লাগলো আমাদের আজকের পোস্ট? চটপট আমাকে জানিয়ে দিন কমেন্ট সেকশনে। যদি ভালো লেগেই থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে দিন।

আবারও খুব শীঘ্রই নতুন কিছু নিয়ে দেখা হবে সেই পর্যন্ত নিজে ভালো থাকুন অন্যকে ভাল রাখুন, আজকের জন্য এখানেই আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *