পেট খারাপ হলে করণীয় কি এ-সম্পর্কে সকলেরই জেনে রাখা জরুরী। কেননা ফুড পয়জনিং এর কারণে হর-হামেশাই আমাদের পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আজকের পোস্টটি পড়ে জেনে নিন– পেটের গন্ডগোল হলে কি খাবেন, কি করবেন, কোন ওষুধ সেবন করবেন এবং কোন কোন সর্তকতা গুলো অবলম্বন করবেন!
পেট খারাপ হলে করণীয়
পেট খারাপ হলে সর্বপ্রথম করণীয় কাজ হবে– যতটা সম্ভব স্বাভাবিক ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা। এছাড়াও পেট খারাপ অর্থাৎ পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে বেশ কিছু টোটকা রয়েছে এবং পেটের সমস্যার রয়েছে নানা চিকিৎসা।
যেগুলো আমরা ধারাবাহিকভাবে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করব। তবে সবার প্রথমে জেনে নেওয়া জরুরী— পেট খারাপ কেন হয়, পেট খারাপ হওয়ার প্রধান কারণ সমূহ, পেট খারাপের লক্ষণ সমূহ, পেট খারাপ হলে ঘরোয়া চিকিৎসা এবং ডাক্তারি চিকিৎসা, সেই সাথে পেট খারাপ থেকে পরিত্রাণের সবচেয়ে সেরা উপায় সম্পর্কে খুঁটিনাটি।
পেট খারাপ কেন হয় | ঘন ঘন পেট খারাপ হওয়ার কারণ
সংক্রমণ জীবাণু যখন খাবারকে দূষিত করে এবং ওই খাবারটি আমরা খাই, তখন সেটা পাকস্থলীতে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করে এবং আমাদের পেট খারাপ হয়। অতএব এটা বলা যায়– ঘনঘন পেট খারাপ হওয়ার কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবাণুযুক্ত খাবার খাওয়া।
এর বাইরেও পেট খারাপ হওয়ার আরো কিছু কারণ রয়েছে। তবে প্রত্যেকটি কারণ খাদ্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত। আর তাই পেট খারাপ হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে জানার পূর্বে পেট খারাপ কেন হয় এবং ঘনঘন পেট খারাপ হওয়ার কারণ কি এটা জানুন।
সাধারণত মানুষের পেট খারাপ হয়–
- ফুডপয়জেনিং
- ফুড এলার্জি
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
- ক্রনিক ইনফ্লেমেটরি বাওয়েল ডিজিজ
- খাদ্য সঠিকভাবে চিবিয়ে না খাওয়া
- অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়া
- ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খাওয়া
- খাদ্য প্রস্তুত, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে সঠিক ধারা বজায় না থাকা
- কাঁচা বা রেডি টু কুক খাবারগুলো ভালোভাবে না ধুয়ে খাওয়া
- মাংস জাতীয় খাবার গুলো অতিরিক্ত তাপে না রান্না করা
- খাবারে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা পরজীবী বিষক্রিয়ার সৃষ্টি এবং
- অনিয়মিত লাইফ স্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস।
অতএব, আপনি যদি এই কারণগুলো মাথায় রাখেন এবং এগুলোকে এড়িয়ে চলেন ও স্বাস্থ্য সচেতন হোন তাহলে পেটের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
পেট খারাপের লক্ষণ
পেট খারাপ হলে সাধারণত নিচের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। আমরা অনেক সময় অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা না হওয়া পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারি না যে পেটের সমস্যা হয়েছে। আর তাই অনেকটাই দেরি হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়ে থাকি। যে কারণে বেশ ভালই ভুগতে হয় পেটের সমস্যায়। এজন্য নিজের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানুন এবং আপনার মাঝে দেখা দিলে পেট খারাপ হলে করণীয় কাজগুলো কি কি সেগুলো মেনে চলুন।
ফুড পয়েজনিং এর লক্ষণ অথবা পেট খারাপ এর উপসর্গ
- পেট ব্যথা
- অতিরিক্ত বমি অথবা বমি বমি ভাব
- পেট কামড়ানো
- পেটের মধ্যে গুর গুর শব্দ
- জ্বর জ্বর ভাব
- অস্বস্তি অনুভব অথবা অতিরিক্ত মাথা ঘোরার
- পানিযুক্ত পাতলা পায়খানা কিংবা
- পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া
এছাড়াও পেট খারাপ হলে আরো কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন পেট অতিরিক্ত ফোলা ফোলা অনুভব, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, মলদ্বারে শ্লেষ্মো বা পচ্ছিলি পদার্থ যাওয়া, অসম্পূর্ণ মলত্যাগ, অতিরিক্ত বায়ু ত্যাগ এবং দ্রুত বাথরুমে যাওয়ার প্রবণতা।
আর আপনার যদি এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তাহলে পেট খারাপ হলে করণীয় কাজ হিসেবে নিচের কাজগুলো করুন। অতঃপর পাতলা পায়খানা বন্ধ না হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
পেট খারাপের চিকিৎসা | পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
পেট খারাপের একাধিক চিকিৎসা রয়েছে। তাই আপনার যদি পেটের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে ঘরোয়া উপায় হিসেবে নিচের সাজেস্টকৃত টোটকা গুলো খেতে পারেন।
পাতলা পায়খানা বন্ধ করার উপায়–১
সরিষা বীজের টোটকা।
উপকরণ: সরিষা বীজ, ঠান্ডা বিশুদ্ধ পানি।
সেবন পদ্ধতি: প্রথমে এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি নিন এবং তাতে এক থেকে চার চা চামচ সরষের বীজ প্রায় এক ঘন্টা যাবত রেখে দিন। অতঃপর তা পান করুন।
খাওয়ার সময়সীমা: এটি দিনের যে কোন সময় খেতে পারেন আপনি। মূলত পেট খারাপ হলে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে এই পানি নিয়মিত পান করুন। তবে পাতলা পায়খানার সমস্যা অতিরিক্ত গুরুতর হলে তা থেকে মুক্তি পেতে দিনে দুই থেকে তিনবার পানীয়টি পান করা অধিক বেশি উপকারী।
পাতলা পায়খানা বন্ধ করার উপায় –২
মেথি বীজের টোটকা।
উপকরণ: মেথি বীজ এবং ঠান্ডা বিশুদ্ধ পানি।
সেবন পদ্ধতি: মেথির বীজ প্রথমত শুকিয়ে নিন অতঃপর তা গুঁড়ো করে দুই চা চামচ মেথির বীজের গুড়া অংশ এক গ্লাস পানিতে মেশান। ভালোভাবে মেশানো হলে তা পান করুন।
খাওয়ার সময়সীমা: পাতলা পায়খানা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পানীয়টি খেতে পারবেন এতে কোন সমস্যা নেই। কেননা মেথির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গালের বৈশিষ্ট্য। যে কারণে পেট খারাপের সমস্যা থেকে পরিত্রান মেলে।
পাতলা পায়খানা বন্ধ করার উপায়–৩
লেবু পানি
উপকরণ: লেবু, পানি, লবণ
সেবন পদ্ধতি: পাতলা পায়খানা হলে পেটের সমস্যা দ্রুত নিরাময়ে লেবু বিশেষ ভূমিকা রাখে। আর তাই লেবু পানি তৈরিতে প্রথমত এক গ্লাস পানি নিন। অতঃপর তাতে নিজের আন্দাজ মত লেবুর রস মিক্সড করুন অতঃপর সামান্য পরিমাণ লবণ অ্যাড করুন। তবে আপনি চাইলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হওয়ার টোটকা হিসেবে এবং একটু টেস্টি সর্বোচ্চ হিসেবে পান করতে চাইলে লেবুর পানিতে সামান্য পরিমাণ চিনিযুক্ত করতে পারেন।
খাওয়ার সময় সীমা: দিনের যেকোনো সময় পান করুন। তবে দুপুরবেলা লেবু পানি পান করাটা স্বাস্থ্যের জন্য অধিক বেশি উপকারী। যেহেতু লেবুতে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। তাই পেটের সমস্যা হলে খুব সহজেই পেট পরিষ্কার হবে বলে আশা করা যায়।
পাতলা পায়খানা বন্ধ করার উপায় –৪
মধু দিয়ে তৈরি টোটকা
উপকরণ: খাঁটি মধু, উষ্ণ গরম পানি এবং দারুচিনি গুড়ো
সেবন পদ্ধতি: এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক থেকে দুই চামচ দারুচিনি এবং এক থেকে দুই চামচ খাটি ফ্রেশ মধু মেশান। অতঃপর সেটা খালি পেটে পান করুন।
খাওয়ার সময় সীমা: পাতলা পায়খানা হলে এই সমস্যাকে দ্রুত নির্মূলের জন্য দিনে দুইবার অথবা তিনবার খালি পেটে মধু দিয়ে তৈরি টোটকা পান করুন। তবে আপনি চাইলে শুধুমাত্র সকালে খালি পেটে এই পানীয়টি পান করতে পারেন যেটা সবচেয়ে বেশি উপকারী।
পাতলা পায়খানা বন্ধ করার উপায়–৫
লাউয়ের রস
উপকরণ: শুধুমাত্র লাউ
সেবন পদ্ধতি: এক টুকরো লাউ কেটে ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। অতঃপর তাতে থেকে বেরিয়ে আসার রস টুকু সংগ্রহ করুন এবং পান করুন।
খাওয়ার সময়সীমা: অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা হলে শরীর থেকে বেশি পরিমাণ পানি বেরিয়ে যায় আর এই পানির ঘাটতি পূরণে লাউয়ের রস বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই পাতলা পায়খানার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চমৎকার এই ঘরোয়া টোটকাটি দিনের যেকোনো সময় খেতে পারেন। আর হ্যাঁ অবশ্যই কিন্তু লাউয়ের খোসা ছাড়িয়ে নিতে ভুলবেন না।
এছাড়াও এমন আরো বেশকিছু ঘরোয়া উপায়ে আপনি পেট খারাপের সমস্যাকে খুব তাড়াতাড়ি বিতাড়িত করতে পারেন। যেমন-
- এক চা চামচ নুন ও এক চিমটে কালো গোল মরিচের গুঁড়ো অথবা জিরার গুড়ো আর হলুদ এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত পান করার মাধ্যমে।
- সাবু খেয়ে
- স্বাস্থ্যকর পানীয় প্রস্তুত করে। যেমন দুই টেবিল চামচ দই, এক থেকে চার চা চামচ হলুদের গুড়া কারি পাতা এক চিমটে হিং এবং নুন ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে তা কুসুম গরম গরম অবস্থায় সেবন করার মাধ্যমে।
- প্রচুর পরিমাণ তরল পানীয় পান করে
- পুদিনা এবং মধু একসঙ্গে মিক্স করে একটি ঘন দ্রবীভূত পানীয় তৈরি করে খেয়ে
- বেল পাতার পাউডার এর সঙ্গে দুই চা চামচ মধু এবং ফলের রস মিক্স করে খাওয়ার মাধ্যমে
- শুকনো আদার পাউডার এক কাপ গোলে মিশিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে
এখন আসুন, জেনে নেই পেট খারাপ হলে কোন কোন খাদ্যগুলো খেতে পারবেন এবং কোন কোন খাদ্যগুলো এভোয়েড করে চলবেন। আশা করছি পেট খারাপ হলে করণীয় কি সেটা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে তা আপনার কাছে সম্পূর্ণ স্পষ্ট হয়ে যাবে।
পেট খারাপ হলে যা যা খাবেন
পেট খারাপ হলে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই পুষ্টি সমৃদ্ধ ও তরল জাতীয় খাবার গুলো বেশি রাখা উচিত। আর আপনার যদি হর হামেশাই পেট খারাপ হয় তাহলে নিয়মিত খাওয়া উচিত—
- লেবুর রস
- কাঁচকলা
- রসুন
- জিরের তৈরি পানীয়
এছাড়াও পেট খারাপের সমস্যার সমাধানে আরো যে সকল খাদ্য উপাদান গুলো অধিক বেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করে সেগুলো হল–
- ডালিম
- বেদনা
- কাঁচা পেঁপে
- রান্না করার সাদা ভাত
- সেদ্ধ আলু
- রান্না করার গাজর
- কেমোমিল চা
- চিড়া
- ভেজিটেবলস সুপ
- ডাবের পানি সহ প্রভৃতি খাবার।
যে খাবারগুলো খাওয়ার কারণে আপনার ফুড পয়জনিং হবে না, পেটে গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দেবে না এবং পেট ফাঁপার সমস্যারও আবির্ভাব ঘটবে না।
পেট খারাপ হলে যে সকল খাবার এড়িয়ে চলবেন
পেট খারাপ হলে ঐ সকল খাবার গুলো সবার প্রথমে এড়িয়ে চলতে হবে যে সকল খাবারের কারণে পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় এবং ফুড পয়জনিং হয়। অতএব
- অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাদ্য
- বাইরের তৈরিকৃত খাবার
- চিজ
- দুধ
- ক্যাফিন যুক্ত পানিও
- উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অথবা
- চা কফি (তবে আমরা যে চায়ের কথা উল্লেখ করেছি সেটা একদমই প্রাকৃতিকভাবে তৈরি কৃত, তাই কেমোমিল চা পান করতে পারবেন)
পেট খারাপের সমস্যা থেকে বাঁচার উপায়
আপনি যদি চান তাহলে পেট খারাপের সমস্যা থেকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন অর্থাৎ প্রতিরোধ করতে পারবেন। এজন্য শুধুমাত্র নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো মাথায় রাখুন।
- খাবার তালিকায় নিয়মিত শর্করা জাতীয় খাবার রাখুন
- খাবার তৈরীর আগে এবং খাবার খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন
- খাবার খাওয়ার প্লেটটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন
- শাকসবজি খাওয়ার পূর্বে ভালোভাবে ধুয়ে নিন
- ফ্রিজে সঠিক নিয়মে খাবার সংরক্ষণ করুন
- সঠিক তাপমাত্রায় খাবার রান্না করুন
- রান্না করা খাবার অল্প সেদ্ধ করা বন্ধ করুন
- খাবারগুলো যথা ভাবে সংরক্ষণ করুন অর্থাৎ ভালোভাবে ঢেকে রাখুন
- রাস্তার পাশের অস্বাস্থ্যকর তৈলাক্ত ভাজাপোড়া খাবার গুলো এভোয়েড করুন
- ঘরে এবং বাহিরে যেকোনো সময় যে কোন খাবার খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং পরিষ্কার পরিছন্নতা বজায় রাখুন
পেট খারাপের চিকিৎসা | পেট খারাপের ওষুধ
পেট খারাপ হলে করণীয় কাজ হিসেবে আমাদের সাজেষ্টিত বিষয়গুলো মেনে চললেই যথেষ্ট। পেট খারাপের অন্য কোন চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না ইনশাআল্লাহ। তবে অনেকেই পেট খারাপের চিকিৎসার বিষয়েও প্রশ্ন করেন। আপনার যদি ডায়রিয়া হয় অথবা আমাশয় জনিত সমস্যা গুরুতরে পর্যায়ে পৌঁছায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে হতে পারে।
তবে সাধারণত পেট খারাপ হলে ঘরোয়া উপায়ে তার সমাধান মেলে। আর আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা পেট খারাপের ওষুধ হিসেবে কোন ওষুধের নাম সাজেস্ট করছি না। মনে রাখবেন প্রত্যেকটি ওষুধেরই কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে থাকে। তাই আন্দাজের উপর ভিত্তি করে অবশ্যই কোন ঔষধ সেবন করবেন না। প্রথমত নিজের সমস্যাটা চিহ্নিত করুন চিকিৎসকের কাছ থেকে তা নিশ্চিত হয়ে নিন অতঃপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খান।
আপনাদের সতর্কতা আপনাকে সুস্থ ও সুন্দর জীবন লাভে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তো পাঠক বন্ধুরা পেট খারাপ হলে করনীয় কি এ সম্পর্কে কি আর কোন প্রশ্ন রয়েছে? যদি থাকে তাহলে আশা করছি পেট খারাপ হলে করণীয় কি এই রিলেটেড নিচের প্রশ্নোত্তরগুলো থেকে আপনি তার সমাধান পাবেন।
পেট খারাপ নিয়ে বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও তার উত্তর
১. পেট খারাপ হলে কি ফল খাওয়া উচিত?
✓ পেট খারাপ হলে প্রচুর পরিমাণে কলা, কমলা, মালটা এবং জাম্বুরা নামক ফলগুলো খাওয়া উচিত।
২. পেট খারাপ হলে কি তরকারি খাওয়া উচিত?
✓ পেট খারাপ হলে তরকারি খাওয়া যাবে। তবে সেটা যদি কাজ কলা ভর্তা বা কাঁচ কলার তরকারি হয় তাহলে অধিক বেশি ভালো।
৩. পেট খারাপ হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত?
✓ পেট খারাপ হলে কোন ওষুধটি খেতে হবে তা জানতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। অথবা আপনি চাইলে doctlab.com , medex.com এজাতীয় মেডিকেল রিলেটেড ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জানতে পারেন।
৪. পেট খারাপ হলে কি খাওয়া উচিত না
✓ পেট খারাপ হলে কি খাওয়া উচিত না তা আমরা আমাদের আলোচনায় ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি। আশা করি এই প্রশ্নের উত্তরটি আপনার কাছে সুস্পষ্ট।
৫. পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানার ঔষধ
✓ পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানার জন্য সাধারণত বাজারে ডায়রিয়া বন্ধ করার কিছু প্রচলিত ঔষধ গুলো খাইয়ে দেওয়া হয়। যেমন- লপেরামাইড, কোডিন-জাতীয় ওষুধ।
৬. পেট খারাপের এন্টিবায়োটিক
✓ পেট খারাপের অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে অনেকেই সিপ্রোফ্লক্সাসিন বা অ্যাজিথ্রোমাইসিন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলেন। তবে এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাই সর্বোত্তম।
৭. কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়?
✓ প্রচুর পরিমাণে তরল ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়।
৮. পেট খারাপ হলে কি ডিম খাওয়া যায়?
✓ না পেট খারাপ হলে ডিম খাওয়াটা ঠিক নয়। মূলত যেকোনো ধরনের প্রোটিন জাতীয় খাবার গুলো পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হলে এড়িয়ে চলা বাঞ্ছনীয়।
৯. বাচ্চাদের পেট খারাপ হলে কি খাওয়া উচিত?
✓ বাচ্চাদের পেট খারাপ হলে তাদেরকে পানীয় জাতীয় ফল যেমন ডালিম মালটা এবং সুপ খাওয়ানো উচিত। তবে এতে করে যদি বাচ্চাদের পেট খারাপের সমস্যা ঠিক না হয় তাহলে আনুমানিকের উপর ভিত্তি করে ওষুধ না খাইয়ে চিকিৎসকের নিকট যাওয়া সর্বত্তম।
১০. বাচ্চাদের পেট খারাপ কেন হয়?
✓ খাদ্য সংক্রমণের কারণে অথবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে বাচ্চাদের পেট খারাপ হয়।
তো অডিয়েন্স বন্ধুরা, সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। এই ছিল পেট খারাপ হলে করণীয় কাজ সম্পর্কিত আলোচনা। পরবর্তীতে আবারো নতুন টপিকের নতুন কোন আলোচনায় আপনাদের সাথে দেখা হবে কথা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন নিজেদের যত্ন নিন। আল্লাহ হাফেজ।