Information

প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায়

প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায়

প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায় অবলম্বনের মাধ্যমে, প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। কেননা হাই প্রেসার মানুষের নানাবিধ শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে। কিন্তু কেউ যদি উচ্চ রক্তচাপ অর্থাৎ হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় তাহলে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে, সেই সাথে আরো কিছু নিয়ম মেনে চলার মধ্য দিয়ে ঘরোয়া উপায়ে প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব। 

আজকের এই পোস্টে আমরা প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায় হিসেবে কি কি করনীয় কাজ করতে হবে, প্রেসার বেড়ে গেলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে, হাই প্রেসার কমানোর সবচেয়ে ভালো খাবার সমূহ এবং ঔষধ ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ সমূহ সংযুক্ত করব। তাই দেরি না করে প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায় হিসেবে কি করবেন আর কি করবেন না আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন A টু Z.

প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায়

প্রেসার বেড়ে গেলে অর্থাৎ আপনার যদি হাই প্রেসারের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে মেডিসিন ছাড়াই ঘরোয়া উপায়ে আপনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এর জন্য মূলত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে প্রয়োজনীয় কিছু খাবার। প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায় হিসেবে যে পরামর্শ গুলো অবশ্যই মেনে চলতে ভুলবেন না, সেগুলো হলো—

উপায় নাম্বার -১

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায় হিসেবে প্রচুর পরিমাণে নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। কেননা যাদের হাইপ্রেশারের সমস্যা রয়েছে তাদের শরীরের জন্য “পটাশিয়াম” অত্যন্ত জরুরী। এজন্য হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে বা হাই প্রেসারের সমস্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেতে থাকলে সেক্ষেত্রে কলা, টমেটো, অ্যাভোকাডো, আলু, বাদাম, শ্যামন ও টুনা মাছ এবং দইসহ প্রভৃতি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার দৈনন্দিন জীবনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে। আর এর মাধ্যমে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব।

উপায় নাম্বার-২

হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই ধূমপানের বদঅভ্যাস পরিত্যাগ করা জরুরী। যারা নিয়মিত ধূমপান এবং মদ্যপান করেন, তাদের মূলত হাই প্রেসারের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এক্ষেত্রে প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায় হিসেবে আমরা দুই নম্বর এই টিপসটি ফলো করার পরামর্শ দেব। কেননা ইতোমধ্যে একটি গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে– অ্যালকোহল প্রায় ১৬ শতাংশ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। এছাড়াও ধূমপান ও মদ্যপানের ফলে আমাদের শরীরে যে নিকোটিন প্রবেশ করে সেটা মূলত রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি করতে সক্ষম। আর তাই এগুলো এরীয়ে চলাই সর্বোত্তম। 

উপায় নাম্বার-৩

ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানা গিয়েছে যে– যেসকল ব্যক্তি প্রত্যেকদিন ৫ গ্রামের বেশি লবণ খেয়ে থাকেন, তাদের জন্য হাই প্রেসারের সমস্যা বেশি গুরুত্ব পর্যায়ে পৌঁছায়। অতএব বিষয়টি এটা দাঁড়ালো প্রতিদিন ৫ গ্রামের বেশি নুন খাওয়ার বদভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। এমনকি যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেশি মাত্রায় রয়েছে, তাদের ধীরে ধীরে নুন খাওয়াটাই ছেড়ে দিতে হবে। মনে রাখবেন– আপনি বাইরে থেকে যে সকল জাঙ্ক ফুড বা বিস্কুট চানাচুর খেয়ে থাকেন সেগুলোতেও বেশ ভালো মতন লবন মিক্স করা হয়। তাই যে কোন খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং লবণ খাওয়ার মাত্রা কে সীমিত রাখার চেষ্টা করুন।

উপায় নাম্বার-৪

প্রতিদিন অন্তত তিনবার খাওয়ার চেষ্টা করুন লেবু জল। কেননা লেবুতে যে উপাদান গুলো থাকে সেগুলো হাই প্রেসারের রোগীদের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আর ইতোমধ্যে চিকিৎসকরা এই পরামর্শ দিয়েছেন যদি কোন ব্যক্তি হাই প্রেসারের সমস্যায় ভোগেন তাহলে দিনে অন্তত তিনবার লেবু পানি খেতে হবে। আর এমনটা করলে অবশ্যই এক সপ্তাহ বা আর কিছু সময়ের মধ্যেই দ্রুত তার সমস্যার মুক্তি মিলবে।

উপায় নাম্বার-৫

হলুদ, হলুদ প্রেসার ঠিকঠাক রাখতে বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখে। অনেকেই কমবেশি এটা জানে যে কাঁচা হলুদে থেকে থাকে প্রচুর পরিমাণে কারকিউমিন। তাই কাঁচা হলুদ অথবা গুঁড়ো হলুদ যেটাই হোক না কেন এটি যদি আপনি দুধের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলেও হাইপ্রেসার  নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব। তাই প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায় হিসেবে পাঁচ নাম্বারে আমরা এই টিপসটি সাজেস্ট করছি।

উপায় নাম্বার-৬

হাই প্রেসারের সমস্যা দূর করতে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে কালো মরিচ। কেননা হাই প্রেসারের রোগীদের জন্য কালো মরিচ অত্যন্ত উপকারী খাদ্যদ্রব্য। আর এটি আপনি খেতে পারবেন সামান্য গরম পানির সঙ্গে এক চামচ কালো মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে। আর হ্যাঁ, এটি মূলত আপনি দিনের যেকোনো সময় খেতে পারবেন, তবে সবচেয়ে ভালো হয় সকালে খালি পেটে খেতে পারলে।

উপায় নাম্বার-৭

রসুন, প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায় হিসেবে যদি আপনি সবচেয়ে উপকারী কোন পণ্যদ্রব্যর নাম জানতে চান তাহলে আমরা বলব রসুন। কেননা রসুনে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো মূলত প্রেসার কমানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। তাই হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে খালি পেটে খেতে পারেন কাঁচা রসুনের কোয়া। এছাড়াও রসুনের জুস বানিয়েও সকালে খালি পেটে খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার হাই প্রেসারের সমস্যাটাকে খুব অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন।

উপায় নাম্বার-৮

যারা আমলকি খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্যও প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখার দারুন একটা সুযোগ রয়েছে। কেননা আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি রক্ত চলাচল ঠিক রাখে এবং শরীরে শর্করার মাত্রা পরিমাণ মতো রাখতে সাহায্য করে। এর জন্য প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনি নিয়মিত খেতে পারেন আমলকি।

উপায় নাম্বার-৯

অনেকের কাছেই মূলো একদমই পছন্দের সবজি নয়। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন এটি কাঁচা অথবা রান্না করে খেলে শরীরের খনিজ এবং প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম সঞ্চালিত হয়। যার ফলে উজ্জ্বল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে। অর্থাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে সেটাকে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য খাবারের তালিকায় অতি সহজে প্রাপ্ত এই সবজিটিও রাখতে পারেন আপনি।

উপায় নাম্বার-১০

পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস এবং নিজের জীবনযাত্রার পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করেও প্রেশার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আপনি যদি স্বাস্থ্যকর জীবন বেছে নেন তাহলে কোন চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না বরং ধীরে ধীরে নিজ থেকেই আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে অর্থাৎ হাই প্রেসার স্বাভাবিক প্রেসারে নেমে আসবে এবং আপনি সুস্থ ও সুন্দর জীবন অতিবাহিত করতে পারবেন।

আশা করা যায়, প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায় হিসেবে আমরা যে দশটি কলাকৌশলের বিষয়টি তুলে ধরেছি এতেই আপনাদের সমস্যার অবসান ঘটবে। তবে আলোচনাটি এখানেই শেষ না করে আমরা মূলত এ বিষয়ে আরো কিছু পরামর্শ এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য সংযুক্ত করব । তাই ধৈর্যসহকারে পরবর্তী অংশ পড়ুন এবং জেনে নিন হাই প্রেসার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং মন চাইলে আরো পড়তে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আরো কিছু স্বাস্থ্য টিপস সম্পর্কিত পোস্ট। 

প্রেসার বেড়ে গেলে করণীয় | হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

রক্তবাহী নালির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় রক্ত। আর এই রক্ত চলাচলের স্বাভাবিক চাপ হচ্ছে ১২০/৮০. কিন্তু যখন এটা এর কমে অথবা অধিক মাত্রাতে গিয়ে পৌঁছায় তখনই প্রেসারের সমস্যা হিসেবে পরিগণিত হয়। মূলত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তির রক্তচাপ ১৩০ বাই ৯০ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সেটা হাই প্রেসারের অন্তর্ভুক্ত। 

আর ১২০ বাই ৮০ কম হয়ে থাকলে তা লো প্রেসারের অন্তর্ভুক্ত। মানুষ হাই প্রেসার এবং লো প্রেসার উভয় সমস্যা তে পড়ে থাকে। তবে আপনি যদি প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান এবং সুস্থ ও সুন্দর জীবন অতিবাহিত করতে চান তাহলে করণীয় কাজ হিসেবে নিচের কাজগুলো অবশ্যই করার চেষ্টা করবেন। যথা —

  • উচ্চমাত্রায় লবণযুক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলবেন
  • অবশ্যই কাঁচা লবণ খাওয়ার বদভ্যাস ত্যাগ করবেন
  • অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করবেন
  • নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করবেন
  • হেলদি ডায়েট চার্ট অনুসরণ করবেন
  • ধূমপানের বদভ্যাস থাকলে সেটা ছেড়ে দেবেন
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাবেন এবং নিজেকে টেনশন ফ্রি রাখার চেষ্টা করবেন
  • নিয়মিত রক্তচাপ মনিটর করবেন
  • হঠাৎ করেই রক্তচাপ বেড়ে গেলে দুশ্চিন্তা কমিয়ে ফেলার জন্য ডিপ ব্রেথ নেবেন অতএব জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে দুই সেকেন্ড পর আস্তে আস্তে সেটা ছেড়ে দেবেন
  • যেকোনো বিষয়ে অতিরিক্ত উত্তেজিত না হয়ে অনেক বেশি ঘাবড়ে না গিয়ে স্বাভাবিকভাবে সবকিছু হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করবেন
  • হুটহাট প্রেসারের ঔষধ খাবেন না
  • কখনো কখনো অতিরিক্ত হাই প্রেসার জেগে গেলে মাথায় পানি বা বরফ দিয়ে সেটা সাময়িক সময়ের জন্য উপশম করার সুযোগটি কাজে লাগাবেন
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন
  • নিয়মিত শরীর চর্চা করবেন এবং স্বাস্থ্যসম্মত লাইফ স্টাইল ফলো করার চেষ্টা করবেন।

এখন আসুন আর্টিকেলের পরবর্তী প্যারাটুকু পড়ার মাধ্যমে এটা জেনে নেওয়া যাক– ইতোমধ্যে উল্লেখিত খাবার গুলো ছাড়াও আপনি মূলত হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে কি কি খাবার খাবেন!

হাই প্রেসার কমানোর খাবার

প্রেসার বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের তালিকায় ইতোমধ্যে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন এটা আমরা উল্লেখ করেছি এমনকি সেই সাথে কিছু খাবারের নামও সাজেস্ট করেছি। আলোচনার এ পর্যায়ে আরো কিছু শস্য দানা বা খাবারের নাম উল্লেখ করবো যেগুলো আপনি খেতে পারবেন হাই প্রেসার কমানোর খাবার হিসেবে। যথা—

  • পালং শাক
  • কলমি শাক
  • ফুলকপি
  • বাঁধাকপি
  • মটরশুটি
  • টমেটো
  • কুমড়া
  • বেগুন
  • শসা
  • লাউ
  • বাদাম
  • আমলকি
  • পেঁপে
  • বেদানা
  • পেয়ারা
  • মেথি
  • আদা
  • তুলসী পাতা
  • পাতিলেবু
  • গোলমরিচ
  • দারুচিনি
  • এলাচ
  • পেঁয়াজ
  • তিসি বীজ
  • বাদামি চাল
  • তুষের মাখা
  • দুধ
  • ডাবের পানি
  • ছোট মাছ সহ প্রভৃতি খাবার।

হাই প্রেসার কমানোর পরিত্যক্ত খাবার

হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে অবশ্যই কিছু খাবার খাদ্য তালিকায় থেকে বরাবরের মতো বাদ দিতে হবে। কেননা তবেই সম্ভব হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। আপনি যদি হাই প্রেসার কমানোর খাবার গুলো খান সে সাথে এমন খাবার খেতে থাকেন যেগুলো প্রেসারের মাত্রা কে দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে, তাহলে আপনার সমস্যা কখনোই বরাবরের জন্য ঠিক হবে না। তাই হাই প্রেসার কমানোর জন্য পরিত্যক্ত খাবার হিসেবে আমাদের সাজেস্ট কৃত খাবারগুলোকে চিহ্নিত করুন এবং খাদ্য তালিকায় থেকে আজই বাদ দিন। 

  • প্যাকেটজাত খাবার
  • চর্বি বা ফ্যাট জাতীয় খাবার অর্থাৎ খাসির মাংস, গরুর মাংস, মাখন, কেক
  • অতিরিক্ত কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার
  • কাঁচা লবণ
  • ধূমপান মধ্য পান এবং
  • অতিরিক্ত ভাত

আর না খেলে একদমই থাকতে পারেন না তাদের জন্য বাদামি চালের ভাত বিকল্প উপায়। আপনি মূলত ব্রাউন রাইস খাওয়ার মাধ্যমে হাই প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন।

প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া চিকিৎসা হঠাৎ হাই প্রেসার হলে করণীয়

অনেকেই রয়েছেন যাদের হুটহাট হাই প্রেসারের সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কি প্রদান করা যেতে পারে বা কি কি করা যেতে পারে এ বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন অনেক অডিয়েন্স বন্ধুরা। এমনকি কেউ কেউ এটাও জিজ্ঞাসা করেন তেতুল পানি কি হাই প্রেসার কমিয়ে দেয়?

আসলে তেতুলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে তেতুল পানি কিছু সাময়িক সময়ের জন্য বেশ কাজে আসে। আর তাই হঠাৎ করেই রক্তচাপ বেড়ে গেলে তেতুল পানি খাওয়ানোর মাধ্যমে হাই ব্লাড প্রেসার সাময়িক সময়ের জন্য কমানো সম্ভব হয়। এছাড়াও মাথায় পানি ঢালার মাধ্যমে কিংবা বরফ দিয়ে ছেক দেওয়ার মাধ্যমেও হাই প্রেসার কে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়। 

এর পাশাপাশি প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে যদি আপনি আরো কিছু জানতে চান তাহলে বলবো– নিয়মিত শরীর চর্চা, টেনশন ফ্রি থাকা এবং নিজেকে হালকা পাতলা রাখার চেষ্টা করতে হবে। কোন সমস্যাই গুরুতর নয় এটা নিজের মস্তিষ্কে গেঁথে দিতে হবে। সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপনের জন্য অবশ্যই একটি স্বাভাবিক সুন্দর স্বাস্থ্যসম্মত লাইফ স্টাইল মেইনটেইন করাটাই আসল এবং সকল রোগের অর্ধেক সমাধান। 

এখন আসুন আলোচনার শেষ পর্যায়ে প্রেসার বেড়ে যাওয়া সম্পর্কিত বহুল জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের উত্তর সমূহ অবগত হওয়া যাক। যে প্রশ্নগুলো সচরাচর অডিয়েন্সরা করে থাকে এবং জানার বেশ আগ্রহ প্রকাশ করে। 

হাই প্রেসার সম্পর্কিত বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন সমূহ

১. তাৎক্ষণিক প্রেসার কমানোর উপায়

✓তাৎক্ষণিক প্রেসার কমানোর উপায় হচ্ছে মাথায় প্রচুর পরিমাণে পানি ঢালা এবং বরফ এর সেক দেওয়া। সেই সাথে তেতুল পানি খাওয়ানো। 

২. হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না?

হাই প্রেসার হলে অ্যালকোহল জাতীয় খাবার এবং অতিরিক্ত কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার গুলো একদমই খাওয়া উচিত নয়। 

৩. হাই প্রেসার কমানোর ওষুধের নাম কি?

হাই প্রেসার এর বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে তবে হাই প্রেসার কমানোর ঔষধ হিসেবে সবচেয়ে পরিচিত ঔষধ হচ্ছে Olmecip ট্যাবলেট। 

৪. উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ কি কি?

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ সমূহ হলো–

  • শ্বাসকষ্ট
  • বুকে ব্যথা
  • মাথা ঘোরা
  • অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
  • বমি অথবা বমি বমি ভাব সহ

৫. বহু চেষ্টাতেও প্রেসার নিয়ন্ত্রণে নেই এর উপায় কি?

✓ প্রেশার কমানোর ক্ষেত্রে লেবু হতে পারে কার্যকরী। এক্ষেত্রে প্রেশার (Blood Pressure) বেশি থাকলে কিছুটা লেবু পানিতে মিশিয়ে নিন। তারপর সেই লেবুজল খেতে থাকুন দিনে ৩ বার। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই সমস্যা দ্রুত কমে যেতে পারে। অতএব এই উপায়টি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনুন। 

৬. হুট করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে করণীয় কি?

হুট করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে অবশ্যই সবার প্রথমে বিশ্রাম নিতে হবে। আর যদি মাথা ঘুরে বা অজ্ঞান হয়ে যান সে ক্ষেত্রে মাথায় পানি ঢালতে হবে অথবা বরফ ঘষতে হবে এমনকি এক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্নও হওয়া লাগতে পারে। 

৭. হাইপ্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যায়াম সমূহ

ব্যায়াম আমাদের শরীরের মূলত যে কোন প্রকার রোগের বিরুদ্ধে প্রটেকশন দিয়ে থাকে। আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে চান তাহলে আপনার জন্য সেরা ব্যায়াম হবে দৌড়ানো অথবা সাইকেল চালানো। এক কথায় কার্ডিও ব্যায়ামের উপর জোর দিতে হবে কেননা হাইপ্রেশন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এই ব্যায়ামগুলো অধিক বেশি সহায়তা করে থাকে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *