Information

লো প্রেসার হলে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন

লো প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়

প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ কি কি এ সম্পর্কে আলোচনা করব আমরা আমাদের আজকের নিবন্ধনটিতে। কেননা প্রেসার হাই হওয়া যেমন একটি সমস্যা, ঠিক একইভাবে লো প্রেসারও একটি সমস্যা। এ কারণে উভয় সমস্যায় পরিণত ব্যক্তিদেরকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে হয়।

কিন্তু কেউ কেউ রয়েছেন যারা কিনা এটাই বুঝে উঠতে পারেন না, যে আপনার প্রেসার কোন অবস্থানে রয়েছে! সাধারণত একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ অর্থাৎ প্রেসার থাকা উচিত 120/80। আর যখনই রক্তচাপ এর ওপরে চলে যায় বা নিচে নেমে আসে এবং কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় তখনই সেটাকে হাই প্রেসার বা লো প্রেসার বলে আখ্যায়িত করা হয়। 

ইতোমধ্যে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে হাই প্রেসার সম্পর্কিত একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেছি। পাশাপাশি এটাও জানিয়ে দিয়েছি যে প্রেসার বেড়ে গেলে ঘরোয়া উপায় এ কিভাবে সেটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায়! তাই যাদের হাই প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তারা চাইলেই আমাদের সাজেস্টকৃত লিংকে সরাসরি ভিজিট করার মাধ্যমে জানতে পারেন বিস্তারিত। তো আসুন জেনে নেই প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে খুঁটিনাটি।

প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ

প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ হিসেবে সাধারণত বেশ কয়েকটি উপসর্গ দেখা দেয়। তাই আপনার প্রেসার কোনটির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, এটা যদি জানতে চান তাহলে নিচের উল্লেখিত লক্ষণ গুলোর সাথে মিলিয়ে দেখুন। কেননা যাদের প্রেসার লো তাদের সাধারণত নিম্ন বর্ণিত সমস্যা গুলো হয়ে থাকে। যথা–

  • অতিরিক্ত দুর্বল অনুভব
  • মাথা ঘোরা
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
  • বুক ধরফর করা
  • ত্বক ম্লান হয়ে যাওয়া
  • চোখে ঝাপসা দেখা
  • অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
  • দীর্ঘ সময় বসে থাকার পর দাঁড়ালে অনেক বেশি ক্লান্তি অনুভব অথবা মাথা ঘোরা অনুভব
  • বমি বা বমি বমি ভাব
  • অতিরিক্ত বেশি তৃষ্ণা অনুভব
  • অস্বাভাবিক হারে হৃদ স্পন্দনের দ্রুততা বৃদ্ধি
  • প্রস্রাবের সমস্যা অর্থাৎ প্রস্রাব কমে যাওয়া
  • হাত ও পা অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
  • অবসাদগ্রস্ততা অর্থাৎ শারীরিক বা মানসিক অবসাদে ভোগা। 

আর তাই, যদি আপনার মাঝে এই লক্ষণ গুলো পরিলক্ষিত হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন এবং নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার প্রেসার বা রক্তচাপ লো পজিশনে রয়েছে কিনা। আর হ্যাঁ সেই সাথে প্রেসার লো হলে করণীয় কি, যাদের প্রেশার লো তাদের মূলত কি কি খাবার খাওয়া উচিত, কোন কোন খাবার লো প্রেসারের মানুষদের জন্য ক্ষতিকর এবং লো প্রেসার মানুষের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ জেনে নিন এই সম্পর্কে এ টু জেড আর্টিকেলের পরবর্তী অংশটুকু পড়ার মাধ্যমে।

Low pressure: প্রেসার লো হলে করণীয়  | প্রেসার লো হওয়ার কারণ

যাদের লো ব্লাড প্রেসার অর্থাৎ রক্তচাপ এর মাত্রা ৯০ বাই ৬০ এর নিচে তাদের মূলত বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত। কেননা যদি কেউ লো প্রেসারের রোগী হয় এবং করণীয় কাজগুলো প্রাত্যহিক জীবনে না মেনে চলে তাহলে ভয়াবহ সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর আমরা প্রত্যেকেই জানি যে কোন সমস্যা বা যেকোনো রোগের নির্দিষ্ট কিছু কারণ থেকে থাকে। 

আমরা যদি প্রেসার লো হবার কারণ সম্পর্কে জানতে পারা যায়, তাহলে প্রেসার লো হলে করণীয় কাজ কি এ সম্পর্কেও কিছুটা ধারণা পাওয়া সম্ভব। আর তাই প্রেসার লো হলে করণীয় কি এবং একজন রোগীর সাধারণত কেন প্রেসার লো হয়ে যায় সেটাই স্পষ্টত ভাবে তুলে ধরবো এ পর্যায়ে।

সত্যি বলতে নির্দিষ্ট একক কোন কারণে নিম্ন রক্তচাপ অর্থাৎ প্রেসার লো হবার সম্ভাবনা থাকে না। মূলত দীর্ঘমেয়াদী অনিয়ন্ত্রিত হরমোন জনিত বিভিন্ন রোগ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ হচ্ছে প্রেসার লো হওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়াও আরো যে সকল কারণে সাধারণত লো প্রেসার এর সমস্যা দেখা দেয় সেগুলো হলো–

  • শরীরে অতিরিক্ত পানি শূন্যতা
  • অনিয়মিত লাইফ স্টাইল
  • সঠিক পরিমাণে পরিমিত খাবার না খাওয়া
  • পরিশ্রমের তুলনায় অতিরিক্ত কম পরিমাণে বিশ্রাম
  • দুশ্চিন্তা, অবসাদগ্রস্থতা
  • শরীরে পুষ্টি জনিত সমস্যা থাকা
  • ডায়রিয়া বদহজম জনিত সমস্যা
  • রক্তপাত অথবা রক্তশূন্যতা
  • শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
  • গর্ভাবস্থা
  • নানা ধরনের ঔষধ সেবন
  • অতিরিক্ত ভয় বা স্নায়ুর দুর্বলতা
  • অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির সমস্যা
  • শরীরে তাপমাত্রার হঠাৎ হঠাৎ তারতম্যতা অনুভব এবং  হৃদপিণ্ড জনিত সমস্যা যেমন ধরুন– ব্রাডিকার্ডিয়া।

আর তাই, যদি দীর্ঘদিন থেকে আপনি এই ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন অথবা আপনার মাঝে আমাদের উল্লিখিত লো প্রেসারের কারণগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র কয়েকটি কারণ পরিলক্ষিত হয় তাহলেই অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরী। সেগুলো হলো—

  • খাদ্য তালিকায় সকল প্রকার পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার রাখার চেষ্টা করা
  • দৈনিক পরিমিত পরিমাণে পানি পান করা
  • কাজের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া
  • ক্যাফেইন যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা
  • অ্যালকোহল জাতীয় খাদ্যপূর্ণ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা ছেড়ে দেওয়া
  • সুন্দর লাইফস্টাইল মেনটেন করে চলা এবং
  • নিয়মিত শরীর চর্চা করা

লো প্রেসারের সমস্যা প্রতিকারের উপায়

যদি কারোর লো প্রেসারের সমস্যা থাকে এবং প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণসমূহ নিয়মিত প্রকাশ পায় তাহলে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না করে এই সমস্যার মোকাবেলার জন্য নিচের টিপস গুলো ফলো করা উচিত। আশা করছি লো প্রেসার প্রতিকারের উপায় হিসেবে আমরা যেগুলো সাজেস্ট করছি তার সবই আপনাদের উপকারে আসবে। 

১. প্রেসার লো হলে সবার প্রথমে আপনার কাজ হবে খাবার স্যালাইন খেয়ে ফেলা। ইতিমধ্যে আমরা উল্লেখ করেছি যে লো প্রেসার সাধারণত রক্তস্বল্পতা, পানির স্বল্পতা এবং ইলেক্ট্রোলাইট এর ভারসাম্যতার কারণে হয়ে থাকে। অতএব আপনি যদি পানি স্বল্পতা কমাতে চান তাহলে প্রেসার লো হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবার স্যালাইন পান করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কেননা এতে করে আপনি সবচেয়ে উপকার এবং তাৎক্ষণিক ফল পেতে সক্ষম হবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

২. সোডিয়াম রক্তচাপের গতিকে অতিরিক্ত বৃদ্ধি করে। আর আমরা সবাই জানি লবণে সোডিয়াম বিদ্যমান। এছাড়াও ডাবের পানিতেও রয়েছে সোডিয়াম। তাই যদি লো প্রেসার এর সমস্যা হয় এবং হঠাৎ লো প্রেসারের উপস্থিতি বুঝতে পারেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস পানিতে আধা চামচের মত লবণ মিশিয়ে কিংবা ডাবের পানি খেতে পারেন। কেননা ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে যারা প্রতিদিন দুই গ্লাস করে লবণ পানি পান করে  পাশাপাশি ডাবের পানি খায় তাদের লো প্রেসারের সমস্যা ঠিক হয়ে যায় দ্রুত । 

৩. যাদের লো প্রেসার এর সমস্যা রয়েছে তাদের মূলত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত কিছু খাবার। বলতে পারেন আলোচনা এ পর্যায়ে আমরা প্রতিকারের উপায় হিসেবে এটা উল্লেখ করবো লো ব্লাড প্রেসারে কি খাবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত। 

লো প্রেসারের রোগীদের খাবার

লো প্রেসার রোগীদের খাবারের তালিকায় অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু খাবার রাখতেই হবে। এমন খাবার যেগুলো রক্তচাপের পরিসীমাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ইতিমধ্যে আমরা প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ সমূহ জানিয়েছি। যেহেতু এটা একটা সমস্যা তাই জেনে নিন যে লো প্রেসারের রোগীদের খাবার তালিকায় কি কি খাবার রাখা সবচেয়ে বেশি জরুরী!

লো প্রেসারের রোগীদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী আদর্শ খাবার হচ্ছে ডিম। কেননা ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি টুয়েলভ, আর এই পোষ্টীয় উপাদান সাধারণত রক্তচাপ বাড়াতে বিশেষভাবে সহযোগিতা করে। 

✓ লো প্রেসারের রোগীদের জন্য টক জাতীয় খাবার ও উপকার। অতএব ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। যেমন ধরুন লেবু, কমলা, মাল্টা, তেতুল, করমচা সহ প্রভৃতি।

✓ লো ব্লাড প্রেসারে আরেকটি উপযোগী খাবার হচ্ছে তরল জাতীয় খাবার সমূহ। অতএব কফি, বিভিন্ন ধরনের ফলের রস, রকমারি শরবত, সূপ ও দুধ সহ প্রভৃতি।

✓ এছাড়াও পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং সোডিয়াম রয়েছে এমন খাবার গুলো লো ব্লাড প্রেসার রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার। আরো আছে

  • মুরগির মাংস
  • গরুর মাংস
  • মাছ বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ
  • কচু শাক
  • লাল শাক 
  • পালং শাক
  • সিমের বীজ 
  • মিষ্টি কুমড়ার বীজ
  • ড্রাই ফুড সহ রকমারি খাবার।

তবে হ্যাঁ, ব্লাড প্রেসার এর রোগীদের জন্য আরও একটি দারুন কার্যকরী খাবার হচ্ছে ডার্ক চকলেট। যেটা তৎক্ষণাৎ রক্তচাপ বাড়াতে দ্রুত সাহায্য করে। এবার আসুন আলোচনার পরবর্তী অংশটুকু পড়ার মাধ্যমে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নেই যেগুলো ১০০ পার্সেন্ট কার্যকরী। 

লো প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়

 লো প্রেসার কমানোর উপায় অর্থাৎ রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি করার জন্য সাধারণত ঘরোয়া উপায় হিসেবে বেশ কয়েকটি মাধ্যম ফাঁকা রয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা যেমন একটি উল্লেখ করেছি যে যদি কোন ব্যক্তি দিনে দুইবার লবণ পানি পান করে তাহলে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

এর পাশাপাশি–

  • যদি কেউ প্রতিদিন সকালে সাত থেকে আটটি তুলসী পাতা এবং খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করে তাহলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে অর্থাৎ লো প্রেসারের রোগীদের রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছায়।
  • একইভাবে দারুচিনি এবং আদা মিক্সড করে চা বানিয়ে খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি দুধ এবং খেজুর একসঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। একইভাবে নিয়মিত টমেটো গাজর কিসমিস খেলেও রক্তচাপ বাড়ে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
  • আরো আছে বাটার মিল্ক। যাদের প্রেসার লো তারা যদি দিনে বাটার মিল্ক খেয়ে থাকে তাহলে এটা যেমন তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ঠিক একইভাবে প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বেশ সহায়ক। তবে আপনি যদি বাটার মিল্ক কিনতে না পারেন সেক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে দই অনেকটাই পাতলা করে তার সঙ্গে সামান্য নুন এবং ভাজা জিরের গুলো মিশিয়ে খেতে পারেন। মূলত এই খাদ্যপূর্ণটিও রক্তচাপের গতি বা পরিসীমাকে বৃদ্ধি করে এবং যাদের লো প্রেসার তাদের প্রেশার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
  • আর এরই মধ্যে আমরা তো চা ও কফির কথা উল্লেখ করেছি। তাই লো প্রেসার কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায় হিসেবে অবশ্যই নিয়মিত চা এবং কফি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন। পাশাপাশি লো প্রেসারের রোগীদের জন্য উপযোগী খাবার গুলো অবশ্যই অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখবেন।

 প্রেশার লো রোগীদের জন্য ব্যায়াম

এটা আমরা সবাই জানি যে ব্যায়াম মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারী এবং এর ফলে বিভিন্ন রোগ বিনা ঔষধে ঠিক হয়ে যায় পর্যন্ত। কিন্তু প্রশ্ন হল যাদের প্রেশার লো ঐ সকল রোগীদের কি ব্যায়াম করা উচিত? তাদেরকে বলব অবশ্যই। 

কেননা প্রেসার স্বাভাবিক রাখতে চাইলে অবশ্যই ব্যায়াম বেশ কার্যকর। যখন কোন মানুষ ব্যায়াম করে অর্থাৎ শরীর চর্চা করে তখন হার্টে রক্ত চলাচল নিয়মিত হয়। আর যাদের লো প্রেসার রয়েছে তাদের যেমন পরিমিত পরিমাণে খাবার খেতে হবে ঠিক একইভাবে শারীরিক পরিশ্রমেও অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। আর তবেই না প্রেসার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হবে। 

আপনি যদি বাড়তি পরিশ্রমের সুযোগ না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রেসার লো থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এক কথায় যে কোন রোগের একমাত্র এবং সর্বোচ্চ সমাধান হচ্ছে সঠিক ও সুন্দর লাইফ স্টাইল মেইনটেইন করে চলা। কেননা আপনি যদি সুন্দর লাইফ স্টাইল মেইনটেইন করে চলেন তাহলে খাদ্য তালিকায় পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন, নিয়মিত শরীর চর্চা করবেন, পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য কোন খাবারগুলো উপকারী এবং কোন খাবারগুলো ক্ষতিকর এই বিষয়গুলোর দিকে বিশেষভাবে নজর রাখবেন। যেহেতু সুস্থ দেহের সুন্দর মন, এমন একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে। 

তাই আপনি যদি আপনার মন এবং দেহ উভয়কেই সুন্দর ও ভালো রাখতে চান, এক কথায় প্রাণবন্ত থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের দেওয়া টিপস গুলো অনুসরণ করুন। সেই সাথে লো ব্লাড প্রেসার নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন বা মন্তব্য থেকে থাকে কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দিন। আলোচনার শেষ মুহূর্তে আমরা প্রেসার লো সম্পর্কিত সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও তার উত্তর গুলো সংযুক্ত করছি। তাই হাতে সময় থাকলে জেনে নিন প্রশ্নোত্তরগুলো সম্পর্কে খুঁটিনাটি। সে সাথে আরো পড়তে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আরো একটি পোস্ট—

১. লো প্রেসারে কি হার্ট এটাক হয়?

ব্লাড প্রেসার অর্থাৎ রক্তচাপের ফলে মানব দেহে রক্ত সঞ্চালিত হয়। আর যখন এই রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে ঘটনা ঠিক তখনই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়। অতএব লো প্রেসারেও হার্ট অ্যাটাক হয় এমনটাই বলা যাচ্ছে।

২. লো প্রেসারে কি স্ট্রোক হয়?

আমরা জানি যখন মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় তখন মস্তিষ্কের কোষগুলো মরে যায় ফলে মানুষ স্ট্রোক করে থাকে। অতএব রক্ত চলাচলে সমস্যা হওয়াটাই স্ট্রোকের মূল কারণ অর্থাৎ লো প্রেসার এবং হাই প্রেসার উভয় কারণে স্ট্রোক হয়। 

৩. প্রেসার লো হওয়ার কারণ কি?

প্রেসার লো হওয়ার নানাবিধ কারণ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পানি শূন্যতা, অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগা এবং অনিয়মিত লাইফ স্টাইল।

৪. লো প্রেসারে কি লেবু খাওয়া যায়?

✓অবশ্যই, কেননা লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি আর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গুলো রক্ত চলেছেন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি লো প্রেসার এর রোগী হয়ে থাকেন তাহলেও লেবু খেতে পারবেন। 

৫. লো প্রেসারের ঔষধের নাম কি?

লোকেশনের ঔষধের নাম হলো লপ্রেসর ৫০ এমজি ট্যাবলেট।

৫. লো প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় কি?

লো প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় হিসেবে একাধিক মাধ্যম রয়েছে। ব্যায়াম করার মাধ্যমে, খাদ্য তালিকায় কিছু খাবার যুক্ত করার মাধ্যমে ঘরোয়া উপায়ে লো প্রেসার কমানো যায়। যার বিস্তারিত আলোচনা আমরা আমাদের আর্টিকেলে ইতিমধ্যে করেছি। তাই বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য পুনরায় আর্টিকেলটি পরতে পারেন 

৬. হঠাৎ প্রেসার লো হলে করণীয়

হঠাৎ প্রেসার লো হলে তৎক্ষণাৎ খাবার স্যালাইন দেওয়া উচিত। পাশাপাশি আঙ্গুর ফলের রস অথবা সোডিয়ামযুক্ত খাবার সেটা হতে পারে চিপস বা কোন ছুপ অথবা ডাবের পানি। অতএব হঠাৎ প্রেসার লো হলে করণীয় কাজ হচ্ছে ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি পাবে এমন খাবারগুলো খাওয়ানো। আর যদি এতে করে সমাধান না মেলে তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডার্ক চকলেট বা দুধ খাওয়ানো উচিত। সেই সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটাও জরুরী। 

৭. লো ব্লাড প্রেসার কি বিপদজনক?

অবশ্যই লো ব্লাড প্রেসার বিপদজনক। প্রেসার লো যেমন একটি সমস্যা ঠিক একইভাবে হাই প্রেসারও একটি সমস্যা। যখন রক্তচাপের পরিসীমা অতিরিক্ত বেড়ে যায় অথবা অতিরিক্ত কমে যায় তখনই এটাকে হাই প্রেসার এবং লো প্রেসার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রেসার যখন স্বাভাবিক থাকে না মানুষের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয় অর্থাৎ এর মানে এটা দাঁড়ালো যে লো ব্লাড প্রেসারও মানুষের জন্য বিপদজনক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *